How to Balance Your Blog Writing Posts

কিভাবে সবকিছু ব্যালেন্স করে লিখবেন?

লেখালিখি করার স্বার্থে আমি বেশ কিছু ব্লগারদের সাথে পরিচিত হয়েছি। তারা সবাই অনলাইনে নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করে থাকে এবং সত্যি কথা বলতে তারা প্রায় সবাই টাইম ম্যানেজমেন্ট করে অথেনটিক, ভ্যালুএবল কন্টেন্টের দিকে ফোকাস করে থাকে।

তবে তাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্লগারদেরকে মধ্যে একটা পিন হোল দেখে আমি কিছুটা বিস্মিত হয়েছে। সেটা হলো তারা অজান্তেই কখনো কখনো নিজের প্যারসোনাল লাইফ নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত এ পোস্ট করে থাকে।

আমি বলছি না যে রাইটাররা তার ব্লগে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লিখতে পারবে না! তবে পাঠকরা অনলাইনে সবসময় লেখকের নয় বরং লেখার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কোন লেখাটা তার জন্য কতটুকু লাভ বয়ে আনবে সেটার উপর ভিত্তি করে তারা লেখাতে এনগেজড হয়।

তবে আপনি যদি মিডিয়া সেলিব্রিটি মিস বিউটি হোন তবে, তারা আপনার ব্লগে আপনার সেলিব্রিটি টক গুলোই খুঁজবে কিভাবে লেখালিখি করা যায় সেই টিপস্ নয়।

আর লেখাটা বেশি দীর্ঘ করতে চাই না।  মূলত আজ এই লেখার উদ্দেশ্য হলো আপনি যখন ব্লগিং করবেন তখন কিভাবে আপনার নিসের (প্রাইমারি লক্ষ্য অর্থাৎ যে কিওয়ার্ডের উপর ফোকাস করে লেখালিখি করেন) সাথে ব্যালেন্স করে লেখালিখি করবেন তা নিয়ে। এতে যেমন আপনার পাঠকদের মিথস্ক্রিয়া বাড়বে তেমনি তারা আপনার পরবর্তী লেখার জন্য অপেক্ষা করতে দ্বিধা করবে না। এটাকে ইংরেজিতে বলা হয় "Balance Diet".

চলুন দেখে আসি কিভাবে ব্যালেন্সড করে লেখালিখি করবেনঃ

* ১০-১৫% এন্টারটেইনমেন্ট বা পারসোনালিটি রিলেটেড লেখা পোস্ট করতে পারেন। যা আপনার সাথে পাঠকের ইমোশনাল কেমিস্ট্র বিল্ড আপ করবে। যেমন, তারা আপনার সাথে আগে যদি কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে কিছুটা হ্যাজিটেড করে থাকে, তবে এই গ্যাপটা দূর হবে।

* ৫০-৬০% ভ্যালুএবল টিপস্ এবং তাৎক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য ইনফরমেশন পোস্ট করবেন। এটা অবশ্যই আপনার মেইন নিস বা কিওয়ার্ড রিলেটেড হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যার কারনে পাঠকরা আপনার ওয়েবসাইটে ঢু মারে।

* ১০-১৫% অন্যদের গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট নিয়ে লেখা পোস্ট করবেন। এই লেখাগুলো সরাসরি কপি করে পেস্ট করবেন না। বরং আপনার লেখার মধ্যে রেফারেন্স করে লিখবেন বা রিভিউ টাইপে লিখবেন। যাতে পাঠকরা আরও জানতে সেগুলোতে ক্লিক করে। অথবা তারা সেগুলোকে বুকমার্ক করে রাখতে পারে।

* ৫-১৫% লেখা লিখবেন আপনার টপিক রিলেটেড রাইটারদের সাথে রিলেশন বিল্ড করার জন্য। এটা আপনার জন্য পজিটিভ অ্যাটিচিউড হিসেবে কাজ করবে। কারন, এতে আপনার পাঠকরা ভাববে আপনি অন্য রাইটারদের সাথে ওয়েল এনগেজড এবং আপনার স্ট্রং লিংক আছে। এছাড়াও আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি যখন অন্য রাইটারদের নিয়ে লিখবেন, তখন অন্যরাও আপনাকে নিয়ে তাদের পোর্টালে লিখতে আগ্রহী হবে। এতে সহজে আপনার ব্রান্ডিং হয়ে যাবে, টাকা ব্যয় করে এড দিয়ে আপনার নিজেকে ব্রান্ডিং করা লাগবে না।

* ৫% কন্টেন্ট বরাদ্দ রাখবেন সেলিং এর জন্য। এই লেখাগুলোতে আপনি আপনার প্রাইম প্রোডাক্ট (ধরেন, একটা বই লিখেছেন) মার্কেটিং অথবা আপনার টপিক রিলেটেড অন্যের প্রোডাক্টগুলোর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। তবে এটা একটু সাবধানতা অবলম্বন করে করবে।

প্লান তো দিয়ে দিয়েছি। তবে এখন কনফিউশান থেকে যায় এই প্লান কিভাবে কাজে লাগাবেন? সহজ কথায় বলতে গেলে।

মনে করেন, আপনি মাসে ১০টি লেখা পোস্ট করে থাকেন। তাহলে লেখাগুলোতে, ৪/৫ টি লেখা গুরুত্বপূর্ণ টিপস্ বা  কার্যকরী ইনফরমেশন নিয়ে, ২/৩ টি থাকবে এন্টারটেইনমেন্টের জন্য, ২/৩ থাকবে রেফারেন্স লেখা এবং অন্য রাইটারদের নিয়ে, আর ১ টি হবে সেল প্রোমোটিং নিয়ে।

আশাকরি এভাবেই একটু গোছানো ভাবে লেখালেখি করলে আগের চেয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরদের রেসপন্স অনেক বাড়বে।

#বাসায়_থাকবেন, ভাল_থাকবেন

Comments

Popular posts from this blog

What Makes Me Happy!!!

Augusta Ada: The first programmer

1.1 Writing: As A Communication Tool