কন্টেন্ট রাইটারদের এর জন্য রিসার্চ স্ট্রাটাজি কেমন হবে?


রিসার্চ শব্দটা একটু গুরুগম্ভীর ও খটমটে টাইপের বটে। শুনলেই মস্তিষ্কে দশ সেকেন্ডের জন্য ঝড় বয়ে যায়। তবে একটা কিলিং হেডলাইন লেখার জন্য, বা তোমার লেখার প্রথম ড্রাফটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নামিদামি লেখকরা সবাই এক এক জন এই স্কিলের পারদর্শী বলেই তাদের লেখা হাজার হাজার বার পোস্ট-রিপোস্ট হয়, শেয়ার হয়, লাইক পড়ে হয়েক লক্ষ।

তাহলে আমরা কিছুটা হলেও বুঝতে পারলাম একটা ভাল লেখার জন্য সবার আগে রিসার্চ করা দরকার। কিন্তু আমরা অধিকাংশই বিষয়টিকে ইগনোর করি, বা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চায়। যেমনভাবে অনেকে তার সৎ ভাইকে আপন ভাবতে পারে না, এবং দেখেও না দেখার ভান করে। সেটা যাই হোক, একজন সফল কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার জন্য তোমাকে অবশ্যই রিসার্চ করতে হবে। চল, এখন দেখে আসি একটা ভাল রিসার্চ তোমার জন্য কি কি করতে পারে!

ভাল রিসার্চ তোমার জন্য কি করতে পারে?

ভাল রিসার্চ তোমার লেখালিখিতে, এমনকি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহনে হেল্প করতে পারে। এই স্কিলটা একবিংশ শতকের প্রতিটি কোম্পানি তাদের কর্মীদের কাছে একটু হলেও ডিমান্ড করে থাকে। কর্মীরা যাতে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে, তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে কোম্পানির ক্ষেত্র প্রসার করতে পারে। এবং কোম্পানির জন্য লভ্যাংশ বয়ে আনতে পারে।

নিচে রিসার্চ স্কিল কিভাবে তোমার রাইটিং এ হেল্প করতে পারে, সেটা তুলে ধরা হলোঃ

১.    তুমি যদি একটা ভাল রিসার্চ করে ফেলতে পারো, তবে তুমি কন্টেন্ট মার্কেটিং এর জন্য একটা সলিড ফাউন্ডেশন বা ভিত্তি নির্মাণ করতে পারবে, এবং কোথায় কনক্রিট দিলে তোমার অডিয়ান্স বা পাঠকরা এটা গ্রহন করবে যেটা বুঝতে সক্ষম হবে। তারা কি ভাবছে, বা কি পছন্দ করে, অপছন্দ করে, অথবা কোন পণ্য ক্রয় করতে আগ্রহী তা বুঝতে পারবে।

সর্বোপরি, তুমি অডিয়ান্সদের সম্পর্কে ধারণা পাবে এবং কোন স্ট্রেস বা  ছাড়ায় তাদের সাথে কথা বলতে সক্ষম হবে।

২.    তুমি যদি দীর্ঘ সময় খাতা-কলম বা কম্পিউটার কিবোর্ড হাতে নিয়ে বসে থেকেও কিছু লিখতে না পার। তবে তুমি রাইটার্স ব্লকে অবস্থান করছো। রাইটার্স ব্লক একটা সিনড্রোম, সেটা হলো চাইলেও কোন বিষয় নিয়ে লেখা না পারা, বা কয়েক লাইন লিখে আর লেখার মত কোন কিছু খুঁজে না পাওয়া। অনেক বিখ্যাত লেখকরাও এই সিনড্রোমের শিকার হয়। তবে, নতুন রাইটারদের জন্য এটি খুব ভয়ংকর। কারনে, তারা এতে লেখার আনন্দ হারিয়ে ফেলে এবং হতাশ হয়ে পড়ে। অনেকে আবার এই সার্কেল থেকে বের হতে ব্যর্থ হয়ে লেখালিখি ছেড়ে দেয়।

তবে তুমি যদি একবার রিসার্চ করা শিখতে পারো, তবে তোমার জন্য এই ব্লক পার হওয়া কোন ব্যপারই না।

৩.    ভাল রিসার্চ তোমার কন্টেন্ট মার্কেটিং মাট্রিক্সকে উন্নত করবে। কিভাবে লিখতে তোমার পোস্ট এর সিপিআর( ক্লিকরেট) বাড়বে, বেশি বেশি শেয়ার হবে, ভাইরাল হবে, বেশি কমেন্ট পড়বে সেটা বুঝতে পারবে।

তবে আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সার্চ র্যাঙ্কিং এ পজিশন পেতে সাহায্য করবে, যেটার জন্য সব কোম্পানি তাদের কন্টেন্ট রাইটাদেরকে পুশ করতে থাকে। এমনি তুমি নিজেও চাও তোমার লেখাটা গুগলে সবার প্রথমে অবস্থান করুক, যাতে সবাই তোমার লেখা সবার আগে পরতে পারে।

৪.    একটা ভাল রিসার্চ তোমাকে তোমার ক্লায়েন্ট ও পাঠকদের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়তে সহায়তা করবে। কারণ, তুমি জানো তারা কি চায়, কিভাবে চায়,আর কতটুকু চায়। তাদের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চাওয়ার পূর্ণতা তোমাকে তৃপ্ত করবে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না?

একটা ছোট্ট কথা বলি নিজের প্রাপ্তি সম্পর্কে।  আমার লেখা পড়ে প্রথম যখন একজন ইমেইল করে ধন্যবাদ দিয়েছিল এবং বলেছিল, আপনার লেখাগুলো আমি পড়ি এবং আজকের লেখাটা আমাকে নতুন ভাবে ভাবতে শিখিয়েছে। সেই ইমেইলই ছিল আমার ইনবক্সে আসা ইমেইল গুলোর মধ্যে সেরা।  এবং আমি বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম কয়েক মূহুর্তের জন্য।  আর সেদিন থেকেই আমার লেখালিখিকে করতে আরও অনেক বেশি ভাল লাগে।

তোমার জন্য একটা বোনাস পয়েন্ট হলো, যদি তুমি কন্টেন্টের হেডলাইনটা হটপিজ্জার মত প্রিয় বানাতে চাও হবে রিসার্চিং তোমাকে অনেক বেশি হেল্প করতে পারে।

The rest will be the next post until stay waiting, please.

Comments

  1. But how to do a deep research? You haven’t Written anything about this.

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

What Makes Me Happy!!!

Augusta Ada: The first programmer

1.1 Writing: As A Communication Tool