০.১ শুন্যের ধারণা অনন্য

অনেক বছর আগে, একদিন এক বালক এক ব্যক্তির সাথে সমুদ্র-সৈকতে সূর্যাস্ত দেখতে গিয়েছিল। সমুদ্র জিনিসটা অসম্ভব সুন্দর, আর এটা যদি হয় সন্ধ্যা বেলা তবে আর কোন কথা থাকে না। ঢেউ এসে কিনারে আছড়ে পড়বে, পায়ে পানির মৃদু স্পর্শ লাগবে আর গোধুলির আবছা আধো-অন্ধকার। এই যেন প্রকৃতির সঙ্গে মনের মেল বন্ধন। সূর্যাস্ত দেখে যখন তারা তীরে হেঁটে হেঁটে ফিরছিল। এমন সময় হঠাৎ করে ছেলেটা পায়ের নিচে শক্ত কিছুর অনুভব করলো। কৌতুহলী হয়ে দেখার জন্য সে নিজের নিচের দিকে ঝুঁকে দিয়েছিল। তারপর যেটা সে পেল, সেটা পাওয়ায় স্বাভাবিক ছিল। এটা ছিল খালি একটা ঝিনুকের খোলক! স্বভাবতই এটা দেখে তার একটু রাগ হয়েছিল। কিন্তু কিছু একটা ভেবে খালি খোলকটা, ফেলে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারপরে আবার তারা হাঁটতে শুরু করেছিল। হাঁটতে হাঁটতে কোন এক সময় অকারনেই ছেলেটার হাত (যে হাতে ঝিনুকের খোলক ছিল) তার কানের কাছে নিয়েছিল। তখন কি হয়েছিল জানেন? অদ্ভুত একটা শব্দ শুনেছিল সে। প্রথমে বিশ্বাস হয় নি এই মৃদু, মেলোডিয়াস, ছন্দময় শব্দটা তার হাতের শুন্য খোলক থেকেই আসছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন একই রকম শব্দ শুনতে পেল, ছেলেটি তখন হতবিহ্বল হয়ে গিয়েছিল, ...